,

হবিগঞ্জ শহরে শতভাগ কার্যকর হয়নি টমটমের ভাড়া ৫ টাকা

জুয়েল চৌধুরী ॥ পৌর মেয়রের ঘোষণার পরও হবিগঞ্জ শহরে টমটমের ভাড়া ৫ টাকা বহাল শতভাগ কার্যকর হয়নি। গতকাল বুধবারও পৌর এলাকার ভেতরে ১০ টাকা করেই ভাড়া নিয়েছে এক তৃতীয়াংশ চালক। উল্টো সরকারি ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়রের নির্দেশনা অমান্য করে হবিগঞ্জ পৌর টমটম মালিক শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ নামের একটি সংগঠন টমটম চালকদের হাতে তাদের তৈরি করা মনগড়া ভাড়া তালিকা তুলে দিচ্ছে। এতে করে বিভ্রান্ত হয়ে ১০ টাকা ভাড়াই নিচ্ছে অধিকাংশ চালকরা। আর এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। গত দুইদিন ধরে পৌর এলাকার ভেতর টমটম চালকদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছেন পৌরবাসী। জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যেক যানবাহনেই আগের ভাড়া বহাল এমন ঘোষণার পর থেকেই হবিগঞ্জ পৌর টমটম মালিক শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ নামের একটি সংগঠন পৌর এলাকার ভেতরে ভাড়া বাড়ানোর পায়তারা করছে। সূত্র আরও জানায়, গত ১০ বছরে ভিন্ন ভিন্ন নামে একাধিক ব্যক্তি নানা নামে সংগঠন আত্মপ্রকাশের নামে চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করলেও বিগত পৌর প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে কোনো সংগঠনই সফল হতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক টমটম চালক বলছেন, টমটম চলাচলের অনুমতি দিয়েছে পৌরসভা, ভাড়া নির্ধারণ করবে পৌর কর্তৃপক্ষই। যেখানে পৌরসভার মেয়র বলছেন আগের ৫ টাকা ভাড়াই বহাল থাকবে সেখানে মনগড়া তালিকা দেয়ায় তাদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটছে। এতে করে বিপাকে ও বিভ্রান্তিতে পড়েছেন চালকরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌর মেয়রের নাম ভাঙ্গিয়ে ওই সংগঠনটি রীতিমতো চাঁদাবাজিতে নেমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর কৌশল হিসেবে তারা গত বছর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের ছবি সম্বলিত স্টিকার বানিয়ে প্রত্যেকটি টমটমে ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই সংগঠনের চাঁদাবাজি ও ভাড়া বাড়ানোর কৌশল জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় কিছু কিছু টমটম থেকে স্টিকারগুলো সরিয়ে ফেললেও এখনো অধিকাংশ টমটমে রয়ে গেছে। এরকম পরিস্থিতিতে জনমনে প্রশ্ন উঠছে, দুইদিন অতিবাহিত হলেও ভাড়া নিয়ে বিভ্রান্তি দুর করতে পৌরসভার পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি কিংবা মাইকিং ও প্রচারপত্র বিলি করা হয়নি। আর ফলেই তথাকথিত ওই সংগঠনটি মাথাছড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর